গ্রিন টিকে বলা হয় চায়ের রাজা। পৃথিবীতে যত রকমের চা আছে তার মধ্যে গুণে মানে সেরা গ্রিন টি। সাধারণত, পাতা তোলার পর কীভাবে তা প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে তার উপরই চায়ের ধরন ও গুণাগুণ নির্ভর করে। যত কম প্রক্রিয়াকরণ হবে চায়ের গুণাগুন তত বেশি বজায় থাকবে। চা পাতা তোলার পর তা শুকানো হয়, তারপর তা রোলিং বা পেশা হয়। তারপর তা অক্সিডেশন ও ফার্মেন্টেশন (গ্যাঁজানো) করে পানযোগ্য করে তোলা হয়। এই পদ্ধতির উপরই নির্ভর করে চায়ের চরিত্র বা ধরন।
গ্রিন টি
এই চা সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। গ্যাঁজানো হয় না এবং বেশি তাপে শুকানোরও প্রয়োজন পরে না। তাই সবুজ পাতা অনেকটা সবুজ থাকে। ফলে, এই চায়ে সবচেয়ে বেশি গুণ রয়েছে। দিনে ২ কাপ গ্রিন টি পান করাই যায়। এই চা শরীরের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে শরীরকে সতেজ ও ঝরঝরে করে তোলে।
অ্যান্টি কার্সিনোজেনিক গ্রিন টিতে এপিক্যাটেচিন, এপিগ্যালোক্যাটেচিন-৩-গ্যালাট উপাদান শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ব্লাড সুগার- এই চা পান করলে ইনসুলিন রেজিটেন্স কমে আর ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়িয়ে দেয়, ফলে অল্প ইনসুলিনেই বেশি কাজ হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ব্লাড কোলেস্টেরল- রক্তে এলডিএল কমিয়ে দেয় এবং এইচডিএল বা গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক থাকে।
ওরাল হাইজিন
‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব নিউট্রিশন’ অনুযায়ী মুখের দুর্গন্ধ, দাঁত বা মাড়ির যে কোনও রকম সমস্যা থাকলে গ্রিন টি একটু উষ্ণ অবস্থায় কুলকুচি করে খেলে ওষুধের মতো কাজ করে। কারণ এতে উপস্থিত ক্যাটেচিন এবং পলিফেনল প্রাকৃতিক ফ্লোরাইডের মতো কাজ করে। শরীরের অত্যধিক মেদ ঝরাতে ক্যাটেচিন সাহায্য করে।